Skip to main content

বিসিএস লিখিত এবং ভাইভা প্রস্তুতি - BCS Preparation

BCS Preparation

 বিসিএস লিখিত এবং ভাইভা প্রস্তুতি - BCS Preparation

বিসিএস লিখিত + ভাইভা


কোয়াড প্রসঙ্গ ও চীন নিয়ে পশ্চিমাদের অন্তর্দাহের নেপথ্যের কারন বিশ্লেষণ ও বাংলাদেশের নিরাপদ দূরত্ব বজায় !


ইংরেজি শব্দ কোয়াড্রিলেটারেল বা চতুর্পাক্ষিকের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে কোয়াড। নামই বলে দিচ্ছে এটি চার পক্ষের একটি জোট। ইদানীং চীনকে ঘিরে কোয়াডের হম্বিতম্বি বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়তে শুরু করেছে এই অনানুষ্ঠানিক জোট। BCS Preparation


চীনকে নিয়ে পশ্চিমের ভয় নতুন নয়। ২১ শতকে চীন দর্পিত ভঙ্গিতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে যাত্রা শুরু করলে পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিতে শুরু করে। তাদের মধ্যে এ রকম আশঙ্কা দেখা দেয়, এখন থেকেই পদক্ষেপ না নিলে প্রায় চার শতাব্দীজুড়ে বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের যে প্রতিপত্তি, তা হয়তো অচিরেই শেষ হয়ে যাবে।

তাই চীনকে কীভাবে বাধাগ্রস্ত করা যায়, তার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তখন থেকেই তারা হাতে নিয়েছিল। এর মধ্যে আছে চীনের কাছাকাছি ভৌগোলিক অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে নিয়ে একটি জোট গড়ে তোলা, যা কিনা বাস্তবিক অর্থেই চীনকে ঘিরে রাখতে সক্ষম হবে।BCS Preparation

একই পরিকল্পনার আরেকটি অংশ হলো পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ধুয়া তুলে চীনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া। পশ্চিমের সংবাদমাধ্যম নিয়ে আমাদের অঞ্চলে যাঁদের ভক্তি অনেকটা ঈশ্বরবন্দনার তুল্য, শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সম্পর্ক কতটা গভীর, সেটা হয়তো তাঁদের জানা নেই, কিংবা জানা থাকলেও চোখ বন্ধ রাখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তাঁরা।

 ফলে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের পেছনে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের জোগান দেওয়া রসদের দিকটি কেন জানি সব সময় আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।

আপন স্বার্থে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের সংবাদমাধ্যমকে বরাবর ব্যবহার করে আসছে। সংবাদমাধ্যমও আনন্দের সঙ্গেই সেই ভূমিকা পালন করে চলেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কথাই ধরুন। আমাজনের মালিক জেফ বেজোস পত্রিকাটি কিনে নিয়েছেন। ব্যবসায়িক কারণে চীনের বিরুদ্ধে তাঁর খেদ রয়েছে। চীনে আমাজনের প্রবেশাধিকার নেই।

বেজোস সাহেবের শকুন-চোখ বিশাল এই বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। যেকোনো উপায়ে চীনকে ঘায়েল করা গেলে বাজারের দুয়ার খুলে যাবে। সেই হিসাব থেকেই চীন প্রশ্নে পশ্চিমের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সখ্য। একই কথা রুপার্ট মার্ডকের মালিকানাধীন ইউরোপ-আমেরিকার কুড়িটির বেশি সংবাদমাধ্যমের বেলায়ও প্রযোজ্য। আপন স্বার্থের যেখানে এত মিল, একে অন্যকে তারা যে নানাভাবে সাহায্য করে যাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।


কোয়াডের সূচনা হয়েছিল ২০০৭ সালে। জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তখন আনুষ্ঠানিক একটি চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। সে বছর ডিসেম্বরে কোয়াডের চার অংশীদার বার্ষিক এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর ফোরামের বাইরে এক বৈঠকে মিলিত হয়।  BCS Preparation


একই বছর চারটি দেশ ভারতের উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরে আয়োজিত মালাবার নৌ মহড়ায় যোগ দিয়েছিল। এর মধ্যে দিয়ে কোয়াডের প্রতিশ্রুতিশীল যাত্রা শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও বছর না ঘুরতেই জোটটি কার্যত ভেঙে পড়ে। এ রকম পরিণতির পেছনে একাধিক কারণ ছিল। 

অন্যতম হল জাপানে ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে রক্ষণশীলদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় কেভিন রাডের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির চীনকে উসকানি দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসা।  

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও জোটের যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করেন। প্রায় এক দশক ধরে নামে উপস্থিতি বজায় রাখলেও কোয়াডের বাস্তব কোনো কর্মকাণ্ড একেবারেই দেখা যায়নি। BCS Preparation


পরে চারটি দেশের ক্ষমতার পালাবদল কোয়াডকে আবারও সক্রিয় করে তোলে। ২০১২ সালের শেষ দিকে জাপানে শিনজো আবে দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তত দিনে পূর্ব চীন সাগরে জনবসতিহীন কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন-জাপান সম্পর্ক অবনতি হতে শুরু করে।


 অস্ট্রেলিয়ায় কেভিন রাডের ক্ষমতা থেকে অপসারণ দেশটিকে আবারও দক্ষিণপন্থী নীতির দিকে নিয়ে যায়। অন্যদিকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই চীনের বিরুদ্ধে জিহাদি নীতি কার্যকর করায় সচেষ্ট হয়ে ওঠেন। ভারতও তত দিনে নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে চরম রক্ষণশীল নীতি অবলম্বন করতে শুরু করেন। BCS Preparation


এই রকম অবস্থায় ২০১৭ সালের দিকে কোয়াড ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজেদের শত্রু হিসেবে রাখঢাক না করেই চীনের দিকে তর্জনী তুলতে শুরু করে। কোয়াডের এই নবজাগরণের পেছনে শিনজো আবের বড় ভূমিকা আছে। আবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলকে সম্প্রসারিত করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর আখ্যায়িত করার মধ্যে দিয়ে বিশাল এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব খর্ব করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ফলে সহজেই তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের রক্ষণশীল সরকারও দ্রুত এতে সারা দিতে শুরু করে। বিস্তৃত সেই সমুদ্র অঞ্চলে অবাধ ও মুক্ত নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে নিয়মিত মহড়া চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় চার দেশ।  BCS Preparation

এরও লক্ষ্য যে চীন, কোয়াড পরিষ্কারভাবে না বললেও সবাই কিন্তু সেটাই ধরে নিচ্ছেন। এসব কারণে শুরু থেকেই চীন এই জোটকে বিশ্বজুড়ে তাদের জেগে ওঠাকে দাবিয়ে রাখার অশুভ আঁতাত হিসেবে দেখে আসছে।


যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার হাতবদল হলেও কোয়াড নিয়ে দেশটির অনুসৃত নীতিমালায় কোনো রদবদল হয়নি। বরং জো বাইডেন তাঁর পূর্বসূরির চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের অল্প কিছুদিনের মধ্যে ১২ মার্চ প্রথমবারের মতো কোয়াড নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন ডাকেন। নিরাপত্তা প্রশ্নে চীনকে সামাল দেওয়ার উপায় নিয়ে নেতারা কথা বলেন, যদিও আনুষ্ঠানিক যৌথ বিবৃতিতে তারা চীনের নাম ঊহ্য রাখেন।

ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ন্যাটোর মতো একটি জোট হিসেবে এশিয়ায় কোয়াড হয়তো দাঁড়িয়ে যাবে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনের সঙ্গে মিলে রাশিয়া হয়তো নতুন আরেকটি সামরিক বলয় তৈরি করবে। 

তেমনটা হলে এশিয়াজুড়ে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা হবে। এসব কারণেই চীন কোয়াডের সেই ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ বৈঠকের সমালোচনা করে। একে স্নায়ু যুদ্ধকালীন মনমানসিকতা ধরে রাখার পাঁয়তারা হিসেবে আখ্যায়িত করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান দল ভারী করার জন্য আসিয়ান অঞ্চলে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আসিয়ানের কোনো দেশই চীনকে পাশ কাটিয়ে কোয়াডের সঙ্গে সখ্য গড়তে এখন পর্যন্ত রাজি হয়নি।


নিয়মিত সামরিক মহড়া আয়োজনের বাইরে সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা অন্যান্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ কোয়াডকে এখন পর্যন্ত নিতে দেখা যায়নি।

ফলে অঞ্চলের দেশগুলো কোয়াডের সামরিক চরিত্রের বাইরের অন্যান্য দিক নিয়ে সংশয়মুক্ত হতে পারছে না। ফলে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে এর কার্যকলাপের ওপর নজর রেখে যাওয়াকেই এরা অনেক বেশি যুক্তিসংগত মনে করেন।

 

পর্ব: দুই

টিকোয়াড নিয়ে বাংলাদেশ-চীনের নতুন কূটনীতি?

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চার দেশীয় জোট ‘কোয়াডে' বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রশ্নে চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘‘কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়ার আগ্রহ বাংলাদেশের নাই৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ বাংলাদেশ এধরনের কোনো জোটে যুক্তও নয়৷''

রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেও অভিহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রদূত আগ বাড়িয়ে বলে ফেলেছেন৷

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ঢাকায় মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করেই বলেছেন,‘‘ বাংলাদেশ কোয়াডে অংশ নিলে চীনের সাথে সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ হবে৷''

কোয়াড্রালেটারাল সিকিউিরিটি ডায়ালগে (কোয়াড) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত সদস্য৷ ২০০৭ সাল থেকে এই জোট কাজ শুরু করে৷ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌপথে চলাচল স্বাধীন ও নিরাপদ রাখার উপায় খুঁজতে এই জোট কাজ শুরু করে৷

 প্রকাশ্যে এটাকে সামরিক জোট বলা না হলেও এটা সামরিক জোট হিসেই কাজ করছে বলে বলা হচ্ছে৷ এই জোটকে তাই এশিয়ার ন্যাটোও বলা হচ্ছে৷ এটাকে চীনবিরোধী জোট হিসেবেও বিবেচনা করা হয়৷ ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যও আছে এই জোটের৷ তবে বাংলাদেশ যে কোয়াডে যুক্ত হবে তার কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া বা কোনো তৎপরতা এখনো স্পষ্ট নয়৷

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাথে কোয়াডের কোনো কথা হয়নি৷ তারা কোনো যোগাযোগও করেনি৷ আমরাও না৷ চীনা কূটনীতি খুব স্বচ্ছ এবং ভদ্রোচিত৷ তারা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না৷ কিন্তু চীনের রাষ্ট্রদূত এমন কেন করলেন তা বুঝতে পারছি না৷ ওনার হয়তো ধারণা হয়েছে কোয়াড আমাদের ডাকছে৷'

তিনি আরো জানান, ‘‘চীনের মন্ত্রী যে ঢাকায় এসেছিলেন তিনিও এ ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করেননি৷ আমার সাথে দেখা হয়নি৷ কিন্তু চীনের কোনো ইস্যু থাকলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমই জানানোর কথা৷ আমি কিছু জানি না৷''

কোয়াডে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার কোনো আগ্রহ আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিই৷ আর কোনো ডিফেন্স প্যাক্ট-এ আমাদের যোগদানের কোনো আগ্রহ নেই৷ আমরা কোনো আঞ্চলিক সামরিক জোটে যুক্ত নই৷ আমাদের নীতি হলো সবার সাথে বন্ধুত্ব৷ কারুর সাথে শত্রুতা নয়৷''

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল(অব) মুনীরুজ্জামান মনে করেন, চীনা রাষ্ট্রদূত যে কথা বলেছেন তা বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের জন্য একটি সতর্ক বার্তা৷ বাংলাদেশ কোয়াডে যুক্ত হচ্ছে বা কোনো ধরনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে এমন কোনো তথ্য এখনও নেই৷ কূটনীতিতে এরকম সতকর্ বার্তার নজির আছে৷

‘‘তবে কোয়াড যে চীনের বিরুদ্ধে একটি জোট তা স্পষ্ট৷ এই জোট ভারত মহাসাগর এবং এই অঞ্চলে চীনের কর্তৃত্ব খর্ব করতে চায়৷ আর তারা মহাসাগরে স্বাধীন চলাচল ও নিরাপত্তার বাইরেও করোনার ভ্যাকসিনসহ আরো অনেক ইস্যু নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেছে৷

চীন এর আগেও কোয়াডের ব্যাপারে তার অবস্থান জানিয়েছে,'' বলেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক৷ তিনি মনে করেন, তাই কোয়াডের ব্যাপারে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে৷ এটা খুবই একটি স্পর্শকাতর বিষয়৷

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল(অব.) শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ৪০ বিলিয়ন ডলারের৷ তার মধ্যে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়ে গেছে৷ তাই সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে তারা চাইবে বাংলাদেশ যেন চীনের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো আন্তর্জাতিক জোটে যোগ না দেয়৷

তিনি বলেন, ‘‘এটা প্রকাশ্যে সামরিক জোট না হলেও এর উদ্দেশ্য সামরিক৷ বিশেষ করে ভারত মহাসগরে তারা চীনের প্রভাব খর্ব করতে চায়৷ তাই বাংলাদেশ যাতে কোনো সহযোগিতা না করে সেটা তারা নিশ্চিত হতে চায়৷ কারণ চীন মনে করে তাদের বিনিয়োগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশ ওই জোটের সহযোগী হলে চীনের বিরুদ্ধেই তা ব্যবহার করা হতে পারে৷''


Comments

Popular posts from this blog

BCS Written book List

  বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য বইয়ের তালিকা  BCS Written book List জাহাঙ্গীর কবির অনিক, সহকারী পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ। অনেকে লিখিত পরীক্ষার জন্য অনেক বইয়ের কথা বলে থাকেন। তাই যারা নতুন তারা অল্প সময়ে প্রস্তুতির সময়ে অনেক অনেক বইয়ের কথা শুনে হতাশায় ভুগে থাকেন। আসলে এত এত বই না পড়ে একদম প্রিসাইজ পড়া উচিত।  অনেকে ইনবক্সে লিখিত প্রস্তুতির জন্য বইয়ের লিস্ট চেয়েছেন। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে এই ব্যাপারে আলোকপাত করছি। নিচের বইগুলো পড়লেই লিখিত পরীক্ষার জন্য মোর দেন ইনাফ। #### বাংলাঃ ১/ Assurance বাংলা লিখিত গাইডঃ ব্যাকরণ এর সব টপিক, ভাব সম্প্রসারণ, সারাংশ,রচনা, পত্র এর জন্য ২/ শীকর বাংলা লিখিত বইঃ সাহিত্য অংশের জন্য ৩/ শীকর গ্রন্থ সমালোচনাঃ গ্রন্থ সমালোচনা এর জন্য *** সমর সেনের বাগধারা, সৌমিত্র শেখর এর বই পড়ার কোন দরকার নেই। #### ইংরেজিঃ ১/ English Reading Skill by Prof Ataul Haque : Comprehension চর্চার জন্য। ২/ Assurance English written book: grammar, letter, Essay অংশ চর্চার জন্য। ৩/ Vocabulary চর্চার জন্য প্রিলি তে যে যেটা পড়েছেন সেটাই ঝালাই করবেন। ( সাইফুর ভোকাবুলারি বা Word smart ব

46th BCS Viva Preparation 2023

46th BCS Viva Preparation 2023   যে-কোন জব ভাইভাতে নিজ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েই থাকে। একজন চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীর নিজ জেলা সম্পর্কে আসলে কোন কোন তথ্য জানা প্রয়োজন তা এই লেখা থেকে বুঝে নিতে পারবেন। আমার নিজ জেলা ঢাকা, তাই আমি ঢাকা জেলার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে এটা সাজিয়েছি। আপনিও আপনার নিজ জেলা সম্পর্কে এভাবে গুছিয়ে লিখে রাখতে পারেন। আর যাদের নিজ জেলা ঢাকা, তাদের তো একাদশে বৃহস্পতি এই মহাযোগ্য ফ্রীতে পাওয়ায় ঢাকার বাসিন্দারা অবশ্যই আমাকে উপঢৌকন দিবেন আশাকরি: ৪৬ তম বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি হিসেবে এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে দ্রুত আমাদের ভাইভা কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। ভর্তি হতে পেইজে ইনবক্স করুন। বিঃদ্রঃ খুব তাড়াতাড়িই এই পোস্ট-টি ডিলেট করে দেওয়া হবে। সুতরাং দ্রুত সংরক্ষণ করুন। আপনি ঢাকার সন্তান? কতটুকু জানেন এই মেগাসিটি সম্পর্কে! Witten by: নাজমুল হাসান 38 BCS Cadre Home District: Dhaka আমার ঢাকা: "The City of Heritage and Hospitality" 46th BCS Viva Preparation  ঢাকা জেলার আয়তন ও ভৌগোলিক অবস্থান: সমগ্র ঢাকা জেলার আয়তন: ১৪৬৩.৬০ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকা মহানগরীর আয়তন: ২৬৯

BCS Preliminary Preparation & BCS Book List

  বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সম্পর্কিত কিছু কথা:  BCS Preliminary Preparation & BCS Book List সোহেল রহমান শাস্ত্রী সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (৪র্থ) বিসিএসে সফলতা প্রাপ্তি দীর্ঘ সময়ের একটি নিরন্তর প্রচেষ্টা ছাড়া যেমন অসম্ভব, তেমনি ভাগ্যও এখানে অনেক বড় ফ্যাক্টর! এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই বিসিএসের এই মহাপ্রতিযোগে নামতে হবে।  ধৈর্য, একাগ্রতা আর ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রেখে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে পারলেই সফলতা ধরা দিতে বাধ্য। বিসিএসের প্রিলি বাছাই নয়, মূলত ছাটাই পরীক্ষা, যেখানে চার-সাড়ে চার লাখের মধ্যে শতকরা ৯৫-৯৬ জন ছাটাই হয়ে যায়! তাই নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করুন। BCS Preliminary Preparation & BCS Book List আমি বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম দ্বিতীয় বর্ষের শেষের দিকে, মোটামুটি বলা চলে পূর্ণরূপ প্রস্তুতি তৃতীয় বর্ষ থেকে।  এজন্য আমি প্রায় সবাইকেই বলি তৃতীয় বর্ষই প্রস্তুতি শুরুর উত্তম সময়। আমার শুরুটা হয়েছিল গণিত লিখিত ও বাংলা লিখিত দিয়ে। হ্যা, আমি প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির আগেই এই দুটো বিষয়ে লিখিত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছিলাম। স্কুল-কলেজে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ায়